আইসোটোপ কী?

আইসোটোপ কী?

আইসোটোপ হলো একই মৌলের এমন পরমাণু, যাদের প্রোটনের সংখ্যা সমান কিন্তু নিউট্রনের সংখ্যা ভিন্ন

আইসোটোপের বৈশিষ্ট্য:

  1. একই মৌলের অংশ – যেহেতু প্রোটনের সংখ্যা (পারমাণবিক সংখ্যা, Z) সমান থাকে, তাই এগুলো একই মৌলের প্রতিনিধিত্ব করে।
  2. নিউট্রনের সংখ্যা ভিন্ন – নিউট্রনের সংখ্যা ভিন্ন হওয়ার কারণে ভর সংখ্যা (A) পরিবর্তিত হয়
  3. রাসায়নিক ধর্ম একই, কিন্তু ভৌত ধর্ম আলাদা – যেহেতু প্রোটনের সংখ্যা পরিবর্তন হয় না, তাই রাসায়নিক ধর্ম অপরিবর্তিত থাকে, তবে ঘনত্ব, গলনাঙ্ক ইত্যাদির মতো ভৌত ধর্ম ভিন্ন হতে পারে।

উদাহরণ:

  1. হাইড্রোজেনের আইসোটোপ:

    • ¹H (প্রোটিয়াম): 1 প্রোটন, 0 নিউট্রন
    • ²H (ডিউটেরিয়াম): 1 প্রোটন, 1 নিউট্রন
    • ³H (ট্রিটিয়াম): 1 প্রোটন, 2 নিউট্রন
  2. কার্বনের আইসোটোপ:

    • ¹²C (কার্বন-১২): 6 প্রোটন, 6 নিউট্রন
    • ¹³C (কার্বন-১৩): 6 প্রোটন, 7 নিউট্রন
    • ¹⁴C (কার্বন-১৪): 6 প্রোটন, 8 নিউট্রন (রেডিওধর্মী)
  3. ক্লোরিনের আইসোটোপ:

    • ³⁵Cl (ক্লোরিন-৩৫): 17 প্রোটন, 18 নিউট্রন
    • ³⁷Cl (ক্লোরিন-৩৭): 17 প্রোটন, 20 নিউট্রন

আইসোটোপের ব্যবহার:

  • কার্বন-১৪ ডেটিং: জীবাশ্মের বয়স নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।
  • আয়োডিন-১৩১: থাইরয়েড চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
  • ইউরেনিয়াম-২৩৫: পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।

সংক্ষেপে, আইসোটোপ হলো একই মৌলের ভিন্ন ভর সংখ্যার পরমাণুগুলো, যেগুলোর প্রোটনের সংখ্যা এক কিন্তু নিউট্রনের সংখ্যা আলাদা



Post a Comment

0 Comments

Close Menu