আইসোটোপ কী?
আইসোটোপ হলো একই মৌলের এমন পরমাণু, যাদের প্রোটনের সংখ্যা সমান কিন্তু নিউট্রনের সংখ্যা ভিন্ন।
আইসোটোপের বৈশিষ্ট্য:
- একই মৌলের অংশ – যেহেতু প্রোটনের সংখ্যা (পারমাণবিক সংখ্যা, Z) সমান থাকে, তাই এগুলো একই মৌলের প্রতিনিধিত্ব করে।
- নিউট্রনের সংখ্যা ভিন্ন – নিউট্রনের সংখ্যা ভিন্ন হওয়ার কারণে ভর সংখ্যা (A) পরিবর্তিত হয়।
- রাসায়নিক ধর্ম একই, কিন্তু ভৌত ধর্ম আলাদা – যেহেতু প্রোটনের সংখ্যা পরিবর্তন হয় না, তাই রাসায়নিক ধর্ম অপরিবর্তিত থাকে, তবে ঘনত্ব, গলনাঙ্ক ইত্যাদির মতো ভৌত ধর্ম ভিন্ন হতে পারে।
উদাহরণ:
-
হাইড্রোজেনের আইসোটোপ:
- ¹H (প্রোটিয়াম): 1 প্রোটন, 0 নিউট্রন
- ²H (ডিউটেরিয়াম): 1 প্রোটন, 1 নিউট্রন
- ³H (ট্রিটিয়াম): 1 প্রোটন, 2 নিউট্রন
-
কার্বনের আইসোটোপ:
- ¹²C (কার্বন-১২): 6 প্রোটন, 6 নিউট্রন
- ¹³C (কার্বন-১৩): 6 প্রোটন, 7 নিউট্রন
- ¹⁴C (কার্বন-১৪): 6 প্রোটন, 8 নিউট্রন (রেডিওধর্মী)
-
ক্লোরিনের আইসোটোপ:
- ³⁵Cl (ক্লোরিন-৩৫): 17 প্রোটন, 18 নিউট্রন
- ³⁷Cl (ক্লোরিন-৩৭): 17 প্রোটন, 20 নিউট্রন
আইসোটোপের ব্যবহার:
- কার্বন-১৪ ডেটিং: জীবাশ্মের বয়স নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।
- আয়োডিন-১৩১: থাইরয়েড চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
- ইউরেনিয়াম-২৩৫: পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
সংক্ষেপে, আইসোটোপ হলো একই মৌলের ভিন্ন ভর সংখ্যার পরমাণুগুলো, যেগুলোর প্রোটনের সংখ্যা এক কিন্তু নিউট্রনের সংখ্যা আলাদা।
0 Comments