পহেলা বৈশাখ হলো বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন, যা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বাঙালিরা অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে উদযাপন করে। এটি বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান উৎসব।
পহেলা বৈশাখের ইতিহাস:
বাংলা সনের প্রবর্তন করেন সম্রাট আকবর (১৫৫৬-১৬০৫)।
কৃষি কর আদায়ের সুবিধার জন্য সৌর বছরকে ভিত্তি করে বাংলা সন চালু করা হয়।
১৪২৭ বঙ্গাব্দে (২০১৪ সালে) পহেলা বৈশাখকে ইউনেস্কো বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
উৎসবের বৈশিষ্ট্য ও আয়োজন:
✅ ঢাকার রমনা বটমূলে চৈত্রসংক্রান্তির রাত শেষে ভোরবেলা ছায়ানটের সংগীতানুষ্ঠান।
✅ মঙ্গল শোভাযাত্রা (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ আয়োজন করে) – এটি ২০১৬ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পায়।
✅ হালখাতা – ব্যবসায়ীরা পুরনো বছরের দেনা-পাওনা মিটিয়ে নতুন খাতা খোলেন।
✅ খাবার – পান্তা ভাত, ইলিশ মাছ, আলু ভর্তা ইত্যাদি ঐতিহ্যবাহী খাবার খাওয়া হয়।
✅ পোশাক – সাদা-লাল শাড়ি, পাঞ্জাবি ও ফতুয়া পরার প্রচলন রয়েছে।
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে উদযাপন:
বাংলাদেশে এটি জাতীয়ভাবে পালিত হয়, সরকারি ছুটি থাকে।
পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলা ও উৎসব হয়।
0 Comments